Header Ads

জীবনের লক্ষ্য বা লাইফস্টাইল কেমন হওয়া উচিত

লাইফস্টাইল:



ক্যারিয়ারের পথে অগ্রসর হওয়ার ক্ষেত্রে নিজেকে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ নিজের আগ্রহ ভালোলাগা, মন্দ লাগা, করা দক্ষতা, বা যোগ্যতা মূল্যবোধ ইত্যাদি সম্মুখে জেনেও বুঝে প্রতিটি ধাপে অগ্রসর হতে হবে।

 যে কাজ আমরা করতে ভালোবাসি তেমন কাজ যদি জীবনের অধিকাংশ সময়ই করা যায় তাহলে ক্যারিয়ার আনন্দময় হয়ে ওঠে আবার যে কাজে আমাদের আগ্রহ নেই সেই কাজ করলে ভালো করার সম্ভাবনা কম থাকে। তাই , যেটা আমরা ভালো বুঝি বা করতে পারি সেটাই আমাদের প্রাধান্য দেয়া উচিত। 

সূচিপত্রঃ

* জীবনের লক্ষ্য বা লাইফস্টাইল কেমন হওয়া উচিত

* লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ এবং সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করা  

* চাকরি খোঁজা 

*দক্ষতা ভিত্তিক বিকাশ

*আত্মবিশ্বাসী হওয়া


জীবনের লক্ষ্য বা লাইফস্টাইল কেমন হওয়া উচিত:

শুধু নিজের সম্প* র্কে ভালোভাবে জানলেই চলবে না। নিজের পছন্দমত দক্ষতার সাথে মানানসই পেশা বা ভিত্তি খুঁজে বের করা ও এর জন্য নিজেকে যোগ্য করে তোলা কেরিয়ার গঠনের পূর্ব শর্ত। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় দক্ষতা, যোগ্যতা, প্রশিক্ষণ, অভিজ্ঞতা দিয়ে বিষয় জানাও জরুরী জানতে হবে নির্দিষ্ট পেশা ভিত্তিতে কি ধরনের চাকরি রয়েছে সেগুলোতে কি কি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে ইত্যাদি সঠিক তথ্য আমাদের সঠিক পেশা বা চাকরি সাহায্য করবে। এতে করে জীবনযাত্রার মান উন্নত হব।


লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ এবং সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করা: 

ক্যারিয়ার বিকাশের লক্ষ্য উদ্দেশ্য নির্ধারণ অপরিহার্য । নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য থাকলে বৃত্তি বা পেশা নির্বাচনে এবং এর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণের সঠিক পরিকল্পনা করা যায়। অনেক সময় যথেষ্ট যোগ্যতা আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও সুস্পষ্ট লক্ষ্য ও পরিকল্পনার অভাবে ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কোন ব্যক্তি বা পেশায় থাকাকালে পেশা বাত্তিতে সাফল্যের জন্য নতুন নতুন যোগ্যতা দক্ষতা অর্জনের প্রয়োজন। 


চাকরি খোঁজা:

আমরা প্রায় শুনে থাকি কোন ব্যক্তি চাকরি খুঁজছেন আবার পত্র-পত্রিকায় ও ইন্টারনেটের বিভিন্ন চাকরির বিজ্ঞাপন দেখতে পাই। ব্যক্তি যখন চাকরি করতে চান তখন বিজ্ঞাপন দেখে যাচাই-বাছাই করে আবেদন পত্র জমা দেন। এজন্য যথেষ্ট মনোযোগ ও ধৈর্যের প্রয়োজন। নিজের যোগ্যতা ,দক্ষতা, আগ্রহ, মূল্যবোধ ইত্যাদি বিষয়ে লক্ষ্য রেখে সংশ্লিষ্ট চাকরির জন্য আবেদন করতে হয়। নিজের শিখাতো পেশাগত অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে একজন ব্যক্তি জীবন বৃত্তান্ত বা সিভি( Curriculum Vitae) তৈরি করেন।

দক্ষতা ভিত্তিক বিকাশ:

এক্ষেত্রে ব্যক্তির একটি নির্দিষ্ট কাজ বা বিষয়ে ক্রমাগত দক্ষ হওয়াকে গুরুত্ব সহকারী বিবেচনা করা হয়। যেমন একজন শিক্ষকের বিজ্ঞান বিষয়ে ক্রমাগত চর্চার ফলে দক্ষতা বৃদ্ধি এক ধরনের দক্ষতা ভিত্তিক বিকাশ। সর্বশেষ বিকাশ বলতে সময়ের সাথে ব্যক্তির জ্ঞান দক্ষতা অভিজ্ঞতা এক্ষেত্রে ক্যারিয়ার একটি অপরটির সাথে আমাদের সামঞ্জসতা বজায় রেখে আমাদের ক্যারিয়ারের লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে।। 


আত্মবিশ্বাসী হওয়া:



আত্মবিশ্বাস অর্থ হচ্ছে আত্মপত্যয় , নিজের শক্তিমত্তা , সক্ষমতা ও যোগ্যতা সম্পর্কে দৃঢ়বিশ্বাসী আত্মবিশ্বাস। যেকোনো কাজ আমি যথাযথভাবে করতে পারব, এবং সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে সফল হব এ বিশ্বাস নিজের মধ্যে লালন পালন করাকে আত্মবিশ্বাস বলে।


পরিশেষে বলা যায় যে, একজন মানুষ বা তোমাকে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে সব গুণাবলী অর্জন করা আবশ্যক। এবং সেই সাথে জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতার প্রয়োজনীয় দরকার আছে। এবং এর সাথে পরিশ্রম অবশ্যই প্রয়োজন।





No comments

Powered by Blogger.